বর্তমানে আমরা যে কোভিড১৯ ( COVID 19) পেন্ডামিক অবস্থায় আছি এতে করে আমাদের মানসিক অবস্থা যে কেমন তা নিয়ে আর বলতে চাই না সবারই তা জানা। কিন্তু তবুও আমরা আশা রাখি খুব শীঘ্রই সব ঠিক হয়ে যাবে।আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবো। তাই এই সময় যারা নিয়মিত গাড়ি চালিয়ে থাকেন তাদের মানসিক অবস্থা সব সময়ই ফিট রাখা জরুরী। এমনকি শুধু এই সময়েই নয় সব সময়ের জন্যই আমাদের মেন্টাল ফিটনেস ( Mental fitness) ধরে রাখা উচিত। তাই আজ জানব গাড়ি চালানোর জন্য কি কি ধরনের মেন্টাল ফিটনেস রাখা দরকার।
১। শারীরিক সুস্থতা: একজন মানুষের শারীরিক সুস্থতার উপর তার মেন্টাল বা মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে। শরীরে জ্বর, ডায়রিয়া,আমাশয়, কাশি, টাইফয়েড এইসব হলে তার মানসিক অসুস্থতাও একই ভাবে বেড়ে যায় ।এ ধরনের অসুস্থতা থাকলে তাকে ড্রাইভার হিসেবে গাড়ি চালাতে দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
২। স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস: একজন মানুষ বা যিনি গাড়ি চালাবেন তিনি যদি দিনে ও রাতে নির্দিষ্ট সময়ে স্বাভাবিক ভাবে এবং নিয়ম-নীতি মেনে তার খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করেন তাহলে কিন্তু তার শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে এবং তিনি গাড়ি চালাতে কোন অসুবিধা বোধ করবেন না।
৩। নিয়মিত ঘুম এবং বিশ্রাম: প্রত্যেক মানুষেরই উচিৎ কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা ঘুমানো এবং দীর্ঘক্ষণ কাজ করলে সেই কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া। যিনি গাড়ি চালাবেন তিনি যদি উপরের দুইটি শর্তই মেনে চলেন তাহলে তার মানসিক অবস্থা ভাল থাকবে।
৪। সাংসারিক অশান্তি: প্রত্যেক মানুষের পরিবারেই বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে অনেক সময় মেজাজ খিট়্খিটে হয়ে থাকে। তাই যিনি গাড়ি চালাবেন এই অবস্থা তে না চালানো টাই ভাল। আগে সমস্যার সমাধান করে ফেলুন তারপর গাড়ী চালান। তখন মানসিক ভাবে ঠিক থাকবেন। তাছাড়া না।
৫। দীর্ঘ ভ্রমন: সাধারণ ভাবেই একজন গাড়ি চালক প্রতি তিন ঘন্টা পর পর ৩০ মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে সর্বচ্চো ১২ ঘন্টা পর্যন্ত টানা গাড়ি চালাতে পারে। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। তবে যদি কোন গাড়ি চালক টানা ১০ থেকে ১২ ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে থাকে তাহলে এই কারণে সে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। ফলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৬। ধূমপান ও মদ্যপান: ধূমপান ও মদ্যপান করলে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যায়। আর যদি একজন গাড়ি চালক এগুলো করেন তাহলে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। ফলে তিনি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে যাবেন।
৭। খারাপ আবহাওয়া: খুব বেশী শীত বা গরম, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, কাঁদাযুক্ত রাস্তা, পাহাড়ি আঁকা বাঁকা রাস্তা এইসব এর মধ্যে গাড়ি চালালে গাড়ি চালক এর উপর মানসিক প্রেশার পড়ে। তাই এই সমস্ত সময়ে যাত্রা বিরতি করা অথবা সংক্ষিপ্ত করাটাই ভাল।
৮। গাড়ি সার্ভিসিং- এ জ্ঞান: একজন গাড়ি চালকের নুন্যতম গাড়ি সার্ভিসিং এর জ্ঞান টি থাকা প্রয়োজন। তা না হলে পথিমধ্যে গাড়ির কোন প্রব্লেম হলে বা কোন সিস্টেম অকেজো হলে গাড়ি চালক মানসিক চাপে পড়তে পারেন।