বর্তমান সময়ে ওভারটেকিং (Overtaking) করাটা রীতিমত একটি প্রতিযোগিতায় রূপ নিয়েছে। কে কার আগে যেতে পারবে এই ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে সবখানেই।হয়তো তারা জীবনের চাইতে সময়কে বেশি মূল্য দিচ্ছে আর না হলে তাদের কাছে এটি একটি খেলা মনে হচ্ছে। তাই আজ এই ওভারটেকিং নিয়ে কিছু বলা যাক।
রাস্তায় অনেক ভেহিকেল (Vehicle) বা গাড়ি চলে বলে ওভারটেকিং এর ব্যাপার টা আসে। কেননা সকল গাড়ি একই গতিবেগে চলেনা।তাই যে সমস্ত গাড়ির গতিবেগ বেশি তাদের ওভারটেকিং এর প্রয়োজন হয়।অর্থাৎ কম গতির গাড়িগুলোকে টপকে দ্রুতগতিতে সামনে যেতে হয়।আর এই প্রক্রিয়াটি হল ওভারটেকিং প্রক্রিয়া।
ওভারটেকিং এর নিয়ম: ওভারটেকিং এর সময় যে সকল বিষয় গুলো মাথায় রাখা উচিৎ সেগুলো হল:
- নিজের গাড়ীর গতিকে কন্ট্রোল করতে হবে।
- যে লাইনে গাড়ি চলছে তার সামনের ও পেছনের গাড়িকে সিগন্যাল দিতে হবে।
- সব সময় নজর রাখতে হবে যে,ওভারটেক করার সময় রাস্তার মধ্যখানে থেকে গাড়ি যেন বেশি ডানে না সরে যায়।
- ওভারটেক করার সময় উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ির দিকে নজর রাখতে হবে।
- গাড়ির গতি বৃদ্ধি করে যতটা দ্রুত সম্ভব ওভারটেকিং শেষ করতে হবে।
- কখনো বিপজ্জনক ভাবে ওভারটেকিং করা উচিত না।
- নিজে ওভারটেকিং করার সময় অন্য গাড়িও ওভারটেকিং করছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা হবার সম্ভাবনা থাকে।
- বহু যানবাহন বা লোকজন আছে পথে ঘন ঘন ওভারটেকিং করা ঠিক না।
- পথ আঁকাবাঁকা হলে অথবা দুই দিক থেকে গাড়ি চলাচল করলে সাবধানে ওভারটেকিং করতে হয়।
- বড় গাড়ি থাকলে কতটা পথ ফাঁকা তা ভালো করে না দেখে ওভারটেকিং করা উচিত নয়।
- গলিপথে ওভারটেকিং করা বিপজ্জনক।
- কোন রাস্তার মোর ঘোরার সময় ওভারটেকিং করা উচিৎ না।