কৌশল বা টেকনিক (Tecnique) শব্দের সাথে সবারই পরিচয় আছে। সবকিছুরই নির্দিষ্ট কিছু কৌশল থাকে। আমরা অনেকেই গাড়ি চালিয়ে থাকি। তবে তা কতটুকু নিরাপদ ড্রাইভিং তা কি কেউ খেয়াল করেছি ? তাই আজ আমরা জানবো নিরাপদ ও আত্মরক্ষা মূলক ড্রাইভিং কৌশল সম্পর্কে।
১। গাড়ির স্টিয়ারিং (Steering) খুব হালকা। এটি যেহেতু হাতে ব্যবহার করতে হয় তাই কখনো জোরের সাথে এটি ঘোরাবার চেষ্টা করা উচিত নয়। অবশ্য যদি কখনো পাশ থেকে বা পেছন থেকে কোন গাড়ি ওভারটেক করতে চায় অথবা কোনো গাড়ি হঠাৎ সামনে এসে পড়ে তাহলে শক্ত হাতে স্টিয়ারিং ধরতে হবে। এরকম না করলে গাড়িকে সেই সময়ে কন্ট্রোল করা যায় না। গাড়ি চালানোর সময় যখন হালকা হাতে স্টিয়ারিং ব্যবহার করবো সাথে সব সময় সামনের দিকে সবকিছু লক্ষ্য করতে হবে। গাড়ি কোন দিকে কতটুকু ঘোরানো প্রয়োজন তা খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিসিশন নিতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় কখনোই স্টিয়ারিং এর উপর জোর জবরদস্তি করা ঠিক না।
২। গাড়ির হর্ন, ব্রেক, গিয়ার, স্টিয়ারিং ঠিক থাকতে হবে। তা না হলে গাড়ি বের করে চালানো যাবে না।
৩। রাতের বেলা গাড়ি চালাতে গেলে গাড়ির আলো চেক করে নিতে হবে যে সেটা ঠিকঠাক আছে কিনা।
৪। সূর্য অস্ত যাওয়ার আধঘন্টা পর থেকে ভোর হওয়া পর্যন্ত যদি গাড়িটি রাস্তায় চলে তাহলে অবশ্যই গাড়িতে আলো জ্বালিয়ে রাখতে হবে ।
৫। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পন্য বহন করা উচিৎ নয়।
৬। সবসময় গাড়ি রাস্তার বাম পাশ দিয়ে চালাতে হবে, যদি ওভারটেকিং (Over Taking) এর প্রয়োজন হয় তাহলে সিগন্যাল দিতে হবে।
৭। রাস্তার যেখানে যতটা স্পিডে গাড়ি চালানোর নির্দেশ আছে সেখানে সেই গতিতেই গাড়ী চালাতে হবে। যেমন বিশেষ কোন রাস্তায় আছে 40 কিলোমিটার পার আওয়ার বেগে গাড়ি চালাতে হবে সুতরাং সেখানে 40 কিলোমিটার বেগেই গাড়ি চালানো উত্তম।
৮। গাড়ি চালাতে হলে দিনের বেলা হাতের সংকেত ও রাতের বেলা আলোর সংকেত সব সময় ঠিকমতো ব্যবহার করতে হবে। তাতে ভুল হলে তা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ যেমন হবে তেমনি তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
৯। অযথা রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে অন্যের অসুবিধা করা যাবে না।
১০। পথে যদি পুলিশের কোন লোক গাড়ি থামাতে বলেন তাহলে সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে দিয়ে তাকে সহযোগিতা করতে হবে বা কো-অপারেট করতে হবে।