ব্রেক সিস্টেমের মধ্যে অন্যতম ব্রেক হল এয়ার ব্রেক ( Air Brake) সিস্টেম। এই ব্রেক টি তুলনামূলকভাবে হার্ড বা শক্ত। তাই যদি গাড়িতে যাত্রী থাকে তাদের একটু সতর্কই থাকতে হয়। এছাড়া এই ব্রেক সিস্টেম সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তাই এই এয়ার ব্রেক সিস্টেম নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
এয়ার ব্রেক যাকে নিউমেটিক ( Pneumatic) ব্রেকও বলা হয়। বর্তমানে বহু গাড়িতে এই ব্রেক এর ব্যবহার বেড়েছে। বিশেষ করে বড় এবং হেভি গাড়িতে এই ব্রেক সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই ব্রেক সিস্টেমে কোন ব্রেক অয়েল এর ব্যবহার নেই। কম্প্রেসেড বা সংকুচিত বাতাসের চাপে লিংকেজ এর সাহায্যে এই ব্রেক কাজ করে। তাই চলুন জেনে নেই যে সকল কম্পোনেন্ট গুলো নিয়ে এই এয়ার ব্রেক সিস্টেম গঠিত।
- এয়ার কম্প্রেসর।
- রিজার্ভার ট্যাংক।
- কন্ট্রোল ভালভ।
- ব্রেক- সু।
- ব্রেক- সু লাইনিং।
- ডায়াফ্রাম।
- ব্রেক লিংকেজ।
- এয়ার হোজ পাইপ। প্রভৃতি।
যেহেতু এয়ার ব্রেক সিস্টেমে কোন ব্রেক অয়েল ব্যবহার করা হয় না। তবে, কোন কোন গাড়ির পাওয়ার ব্রেক এর সাথে এই ব্রেকের কম্প্রেসর বা রিজার্ভার কানেক্ট করে ব্রেক করানোর ব্যবস্থা করা হয়। এই সিস্টেমে কম্প্রেসর টি ইঞ্জিন দ্বারা চলে এবং তা বাতাস তৈরির কাজ করে। আর সেই বাতার রিজার্ভার ট্যাংক এ জমা থাকে।
যেভাবে কাজ করে।
চালক যখন ব্রেক প্যাডেলে চাপ দেয়, সেই মুহূর্তে কন্ট্রোল ভালভ খুলে যায় এবং রিজার্ভার থেকে এয়ার বা বাতাস ডায়াফ্রাম কে জোরে চাপ দেয়। এই চাপ পুশ রড বা লিংকেজ এর মাধ্যমে চাকার ক্যাম কে প্রসারিত করে। যার ফলে ব্রেক ড্রামের সাথে দ্রুত মিলিত হয়। অর্থাৎ ব্রেক হয় এবং গাড়ি থেমে যায়।
আবার যখন চালক ব্রেক প্যাডেল থেকে চাপ তুলে নেয়, তখন কন্ট্রোল ভালভ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে রিজার্ভ ট্যাংক এর বাতাস আর ডায়াফার্ম এ যেতে পারে না। ব্রেক করার সময় ডায়াফার্ম এ যে বাতাস ছিল, ব্রেক প্যাডেল চাপ মুক্ত করার সাথে সাথে তা বাতাসে মিশে যায়। আর ব্রেক-সু রিটার্নিং স্প্রিং এর সাহায্যে আবার তার নিজ স্থানে ফিরে আসে। আর এভাবেই এয়ার ব্রেক কাজ করে।