একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। গাড়ি চালানোর সময় নানারকম দুর্ঘটনার সম্মুখীন আমরা হই। অনেক ক্ষেত্রেই হয়তো আমরা ঝুঁকিতে পড়িনা। কিন্তু এই দুর্ঘটনা গুলো অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা কেউই চাইনা যে , কেউ এই সকল দুর্ঘটনার কবলে পড়ুক।
একটি গাড়িকে, বিশেষ করে কার (Car) কে যখন প্রস্তুত করা হয় তখন সব কিছুর সাথে এটিও মাথায় রেখেই বানানো হয় যে,যদি এই গাড়িটি কোন আঘাতের মাধ্যমে দুর্ঘটনার শিকার হয় তখন কিভাবে গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রী এবং গাড়ি চালক নিরাপদ থাকবে।আর সেই জন্যই তারা যেন প্রথম আঘাতটি না পান এই কারণেই গাড়িতে এয়ার ব্যাগ (Air Bag) ব্যবহার করা হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এয়ারব্যাগ কি?
এয়ার ব্যাগ যার অর্থ বোঝা যায় যে বাতাস ভর্তি বস্তা বা ব্যাগ। কিন্তু এই ব্যাগ দৃশ্যমান না। এটি গাড়ির বিভিন্ন জায়গায় খুবই সংকুচিত ভাবে রাখা থাকে। যেমন স্টিয়ারিং হুইলে,ড্যাশ-বোর্ডে,কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেবিনের ভিতরে গাড়ির পাশে লাগানো থাকে। যেটা দুর্ঘটনায় পড়লে তাৎক্ষণিক এয়ার ব্যাগ গুলো বাতাসে ফুলে ওঠে এবং সামনে চলে আসে। ফলে যাত্রী এবং চালক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পায় ।
কিভাবে কাজ করে:
এই এয়ার ব্যাগ সিস্টেম টি সফল হবার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান হল গাড়ির ক্র্যাশ সেনসর (Crash Sensor) । এই ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস টিকে এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে,যখন কোন গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়বে এই সেন্সরটি এয়ারব্যাগ কন্ট্রোল ইউনিট কে সেই সংকেত পাঠাবে এবং তা সাথে সাথে কাজ করবে।
অর্থাৎ এই ব্যাগে বাতাস ভরে উঠবে যা নাইট্রোজেন গ্যাস এবং যাত্রী এবং চালক কে রক্ষা করবে। এই এয়ার ব্যাগ কন্ট্রোল ইউনিট টি গাড়ির কেবিনের সামনে থাকে।
দুই ধরনের এয়ার ব্যাগ সেন্সর হয়ে থাকে । মেকানিকাল এবং ইলেকট্রিক্যাল। ইলেকট্রিকাল সেন্সর গুলো বিভিন্ন গাড়ির জন্য বিভিন্ন রকম হয়। তবে মেকানিক্যাল সেন্সর এর জন্য কোন পাওয়ার সোর্স লাগে না যেমন, ইলেকট্রিক্যাল সেন্সর এর ক্ষেত্রে ব্যাটারি থেকে পাওয়ার নেওয়ার প্রয়োজন হয়।
এই এয়ার ব্যাগ সিস্টেম টি সঠিক ভাবে শুধু কাজ করে তা না। খুবই দ্রুততার সাথে কাজ করে বলে এটি অনেক বিশ্বস্ত।