গাড়ি খুব শখের আবার খুব দরকারের একটা বস্তু। আর এই প্রয়োজনীয় বস্তুটি কেনার আগে এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকাটা দরকার। তার উপর যদি হয় সেটা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি তাহলে আরেকটু গভীরভাবে জানা টা দরকার। আর না জানা থাকলে যান্ত্রিক তো আছেই। আপনার গাড়ি কেনা থেকে বিক্রি পর্যন্ত যাবতীয় সমাধান এখানেই পাবেন।
আমাদের দেশের ৯৫% গাড়িই রিকন্ডিশন্ড। আবার অনেকে ব্যবহৃত গাড়িও কিনে থাকেন। তাই একটি গাড়ি কেনার আগে গাড়ির ইঞ্জিন, বডি, সাসপেনশন, টায়ার, এসি, ডকুমেন্টস সহ অনেক কিছু ভালোভাবে দেখে নিতে হয়। কিন্তু সবার প্রথমে যেই বিষয়টি দেখতে হয় তাহল ইঞ্জিন। তাই আজ আমরা এই ইঞ্জিন এর কি কি বিষয় চেক করতে হয় তা জানার চেষ্টা করব।
ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় প্রথমেই গাড়ির বোনেট কে উপরে তুলে ইঞ্জিন এর নিচের দিকের অংশগুলো এবং মাউন্টিং গুলো চেক করতে হবে। কেননা গাড়ি সাধারনত ওয়াশ করা থাকবে তাই উপরের দিকে কোন ময়লা বা কোন লিক পাওয়া যাবে না। এইজন্য নিচের দিকের অংশগুলো চেক করলে যদি কোন ধরনের লিক যাতীয় সমস্যা এবং মাউন্টিং এ মরিচা থাকে তা সহজে নজরে আসবে। এরপর ইঞ্জিন অয়েল এর ক্যাপ খুলে চেক করতে হবে। কেননা ইঞ্জিন অয়েল যদি অনেক দিন পরিবর্তন না করা হয় তাহলে সেটি জমে যাওয়ার মত অবস্থা হয় এবং ক্যাপের ভিতরের অংশে তার দাগ লেগে থাকে।
ইঞ্জিনের হেড গ্যাসকেট (Head gasket) এ কোন লিকেজ আছে কিনা তা চেক করার জন্য রেডিয়েটর (Radiator) এর পানি চেক করতে হয়। এই কারনে রেডিয়েটর এর প্রেসার ক্যাপ খুলে কুল্যান্ট এর সাথে তেল সাদৃশ্য কোন কিছু দেখা যাচ্ছে কিনা সেটা চেক করতে হবে। যদি তেল সাদৃশ্য কোন কিছু দেখা যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে ইঞ্জিন হেড গ্যাসকেটে লিকেজ আছে। আর না দেখা দিলে লিকেজ নেই। তবে রেডিয়েটর এর প্রেসার ক্যাপ খোলার আগে অবশ্যই ইঞ্জিন যেন ঠান্ডা থাকে। ইঞ্জিন গরম অবস্থায় প্রেসার ক্যাপ খুলতে গেলে গরম পানির ছিটে শরীরে পড়তে পারে।
এইবার গাড়িকে ষ্টার্ট করতে হবে। ইঞ্জিন এর এগজষ্ট (Exhaust) এর ধোঁয়া দেখে ইঞ্জিন সম্পর্কে বেশ ভালো একটা ধারনা পাওয়া যায়। সে কারনে এক্সিলারেটরে প্রেস করে ইঞ্জিনকে কিছুটা গরম করে নিলে ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া আসে। যদি ধোঁয়ার রং নীল হয় তাহলে বোঝা যাবে ইঞ্জিন এর পিষ্টন রিং, সিলিন্ডার ওয়াল, সীল এগুলো দুর্বল হয়েছে। সাদা রং এর ধোঁয়া হলে বুঝে নিতে হবে হেড গ্যাসকেট এর কোন সমস্যা হয়েছে।
ইঞ্জিন ষ্টার্ট করার পর ইঞ্জিন অয়েল এর ক্যাপ খুলে সেখানে হাত দিয়ে চেপে ধরে আবার ছেড়ে দিতে হবে। এতে করে হাতে ভ্যাকুয়াম এর মত অনুভুতি আসবে। যদি না আসে তাহলে বাতাস লিকেজ হচ্ছে। ইঞ্জিনকে এক্সিলারেট করে গভীর ভাবে ইন্সপেকশন করতে হবে এবং দেখতে হবে ইগ্নিশনে কোন শব্দ হচ্ছে কিনা, ট্যাপেট এ কোন শব্দ হচ্ছে কিনা।
ইঞ্জিনকে আরও গভীর ভাবে ইন্সপেকশন করার জন্য স্ক্যানার ব্যবহার করতে হবে। স্ক্যানার ব্যবহার করে ইঞ্জিন এর কোন ইরোর আছে কিনা, পাওয়ার ট্রেনে কোন সমস্যা আছে কিনা তা চেক করা সম্ভব।