গাড়ি বলতে আমরা পেট্রল এবং ডিজেল এর বাইরেও এখন ইলেক্ট্রিক গাড়িকে (Electric vehicle) নিয়ে ভাবতে শিখেছি। বর্তমানে এই ইলেক্ট্রিক গাড়ি নিয়ে সকলেরই বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইঞ্জিন ছাড়া এতে ইফিসিয়েন্সি কেমন আসবে? দ্রুত চলবে কিনা? স্থায়িত্ব কেমন হবে? এইসব না না রকম প্রশ্ন প্রায়ই অনেকের মাথায় চলে আসে। তাই চলুন আজ এই ইলেক্ট্রিক কার (Electric Car) নিয়ে আমরা কিছু জেনে নেই।
ইলেক্ট্রিক সকল কার ই বর্তমানে EVs নামেই পরিচিত। ইলেক্ট্রিক কারে কম্বাশন ইঞ্জিন (Combustion Engine) এর বদলে ইলেক্ট্রিক মোটর (Electric Motor) ব্যবহার করা হয়। আর এই ইলেক্ট্রিক মোটরকে শক্তি সরবরাহ করার জন্য ব্যবহার করা হয় একটি বিশাল সাইজের ট্র্যাকশন ব্যাটারি। অর্থাৎ ব্যাটারি টি সমতলে টানা দেয়ার মত বা বিছিয়ে দেয়ার মত থাকে। আর অবশ্যই সেই ব্যাটারি টি চার্জ দেয়ার ব্যাবস্থা থাকবে। এটি হতে পারে কোন চার্জিং ষ্টেশন থেকে চার্জ দেবার ব্যবস্থা অথবা নিজস্ব প্লাগ ইন ব্যবস্থা।
এখন জেনে নেই কি কি ধরনের কম্পোনেন্ট ব্যবহার হয় এই ইলেক্ট্রিক কার এ।
১। ব্যাটারিঃ ইলেক্ট্রিক গাড়িতে প্রথম যেই কম্পোনেন্ট (Component) টি প্রয়োজন তা হল ব্যাটারি। গাড়িতে যত রকম ইলেক্ট্রিক এক্সেসরিজ রয়েছে সব কিছুই ব্যাটারি থেকে পাওয়ার পেয়ে থাকে। যদিও আলাদা এক্সেসরিজ গুলো অক্সিলারি ব্যাটারি (Auxiliary Battery) থেকে পাওয়ার (Power)নিয়ে থাকে।
২। চার্জিং পোর্টঃ যেহেতু একটি বিশাল সাইজের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় তাই এই ব্যটারি চার্জ করার জন্য এক্সটার্নাল চাজিং পোর্ট (Charging Port) এর ব্যবস্থা থাকে।
৩। ডিসি কনভার্টারঃ যেহেতু গাড়ির আলাদা এক্সেসরিজ গুলো অক্সিলারি ব্যাটারি থেকে পাওয়ার নিয়ে থাকে। সে কারনে অক্সিলারি ব্যাটারিটিও নিশ্চয়ই চার্জ হবার প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই কনভার্টার ব্যবহার করে গাড়ির ট্র্যাকশন ব্যাটারি থেকে পাওয়া হাই ভোল্টেজ কে লো ভোল্টেজে কনভার্ট করে সেই অক্সিলারি ব্যাটারিকে চার্জ করার ব্যবস্থা রাখা হয়।
৪। ইলেক্ট্রিক ট্র্যাকশন মোটরঃ গাড়িতে যেই ব্যাটারি প্যাক (Battery Pack) ব্যবহার করা হয়, সেই ব্যাটারি থেকে পাওয়ার নিয়ে এই ইলেক্ট্রিক ট্র্যাকশন মোটর (Electric Traction Motor) এর ঘুর্নন গতি ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়ির চাকায় শক্তি সরবরাহ করা হয়। যার ফলে গাড়ি চলমান হয়।
৫। অনবোর্ড চার্জারঃ চার্জিং পোর্ট থেকে যখন অনবোর্ড চার্জার এর মাধ্যমে গাড়ির ব্যাটারি প্যাক কে চার্জ করা হয় । সেটি এসি কারেন্ট ( AC Current) কে ডিসি কারেন্ট (DC Current) রুপান্তর করে। এই চার্জার ব্যাটারির বিভিন্ন বৈশিষ্ঠ্য মনিটর করে। যেমনঃ ভোল্টেজ, তাপমাত্রা এবং ব্যাটারি চার্জ হবার সময় কতটুকু চার্জ হয়েছে।
৬। পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোলারঃ ব্যাটারি থেকে যে এনার্জি বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হয় এবং ট্র্যাকশন ইলেকট্রিক মোটর এর স্পিড সহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট গুলোকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোলার ব্যাবহার করা হয়।
৭। কুলিং সিষ্টেমঃ কুলিং সিষ্টেমের গুরুত্ব সবসময়ই থাকে। ইলেক্ট্রিক কার এর ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম নয়। গাড়ির ইলেক্ট্রিক মোটর সহ অন্যান্য কম্পোনেন্ট এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য এই কুলিং সিষ্টেম ব্যবহার করা হয়।